চোখ উঠলে করণীয় কি – চোখ ওঠার লক্ষণ ও প্রতিকার

চোখ উঠলে করণীয় কি - চোখ ওঠার লক্ষণ ও প্রতিকার

আমাদের সবারই কোনো না কোনো সময়ে কোন না কোন দিন চোখ উঠেছে।  আজকে আলোচনা করব চোখ উঠলে করণীয় কি এবং চোখ ওঠার লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে এই আর্টিকেলটি পড়লে আশা করি চোখ ওঠার সমস্যাটি ঘরোয়া ভাবে সমাধান করতে পারবে।

 

মূলত ব্যাকটেরিয়ার জন্য আমাদের চোখ উঠে থাকে। এছাড়া আমরা যখন রাস্তাঘাটে বেশি চলাচল করি অনেক ধরনের ময়লা জীবন ও আমাদের চোখের সাথে মিশে যায় এবং ঠিকমতো পরিষ্কার না করলে কেউ কোথায় সমস্যা সম্মুখীন হতে পারেন।

 

আপনাদের কারো যদি চোখ উঠে থাকে এতে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই এটি ত ব্যাকটেরিয়ার কারণে বা ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকে। কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করলেই ঘরোয়া ভাবে চোখ  উঠার সমস্যা আপনি সমাধান করতে পারবেন।

 

আপনার যদি চোখ উঠে থাকে তাহলে খুব দ্রুতই আপনার মাধ্যমে অন্য কারো চোখ উঠতে পারে এজন্য এর প্রতিরোধে সহজ উপায় ও কার্যকর উপায় গুলো আপনাদের জেনে রাখা অসীম গুরুত্বপূর্ণ।

চোখ উঠলে করণীয় কি?

১. যদি আপনার চোখ উঠে আপনি ভয় পাবেন না। কারণ চোখ কোথা খুব বেশি কোন জটিল রোগের মধ্যে পড়ে না। চোখ উঠলে আপনি ঠান্ডা পানি দিয়ে বারবার চোখ দিতে পারেন এতে আপনার চোখের ফোলা ও জ্বালাপোড়া ভাবটা কমে আসবে। ঠান্ডা পানিতে একটি পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে তার চোখে ধরে রাখতে পারেন এতে চোখে আরাম লাগবে এবং চোখের  ফোলাভাব কমে যাবে।

 

২. যারা চোখের জন্য কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করি তারা তো পুরোপুরি সেরে ওঠার আগ পর্যন্ত কোনোভাবেই কন্টাক লেস ব্যবহার করবেন না। যদি একান্তই ব্যবহার করতে হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করবেন।

 

৩. চোখ উঠলে চোখ বারে বারে পরিষ্কার করার প্রয়োজন পড়ে থাকে।  প্রথমে পানি ফুটিয়ে জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে তারপর একটি পরিষ্কার কাপড়  দিয়ে পানিতে ভিজিয়ে আলতো ভাবে চোখের পাপড়ি গুলো মুছে নিতে হবে।  এভাবে করলে আপনার চোখে জমে থাকা ময়না পরিষ্কার হয়ে যাবে।

 

এজন্য অবশ্যই অনেকগুলো কাপড়ের টুকরা ইউজ করবেন প্রতিবার পরিষ্কার করার সময় আলাদা আলাদা ভাবে কাপড়ের টুকরা নিয়ে চোখ পরিষ্কার করবেন এতে আগের বারের চোখ পরিষ্কার করা জমে থাকা ব্যাকটেরিয়া যাতে পরেরবার পরিষ্কার করার সময় চোখে না লাগে সেটিকে সতর্ক থাকতে হবে।

 

৪. চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন।

 

৫. চোখ উঠলে কালো চশমার ব্যবহার করুন। এতে চোখে স্পর্শ করা কমবে যাবে এবং ধুলাবালু, ধোঁয়া থেকে চোখ রক্ষা পেতে সাহায্য করবে।

 

৬. খালি হাত দিতে চোখ ধরা যাবে না । সাবানপানি দিয়ে কিছুক্ষণ পরপরই হাত পরিষ্কার করতে হবে। যদি চোখে হাতে লাগেও কোন জিবানু যেন প্রবেস করতে না পারে।

 

৭. ভিটামিন সি এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সুষম খাবার খালে ভালো হবে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে থাকে।

 

৮. পর্যাপ্ত পরিমানে বিশ্রাম নিতে হবে।

চোখ উঠলে কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন?

তো কোথায় খুবই সাধারণ একটি বিষয় এ সমস্যাটি সমাধান সাধারণভাবে করলে ভালো হয়ে যায় ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু যদি নিচের লক্ষণ গুলো দেখতে পান তাহলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিবেনঃ

১. দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়া এবং বারে বারে চোখ পরিষ্কার করার পরেও ঝাপ থেকে যাওয়া।

২. চোখে প্রচন্ড ব্যথা হওয়া এবং এই ব্যথা কোনোভাবেই না কমে।

৩. যদি  চোখে আলোর ঝলকানি অথবা  আঁকাবাঁকা দৃষ্টি রাখা দেখতে পাওয়া যায় তাহলে।

৪. যদি সরাসরি বিভিন্ন ধরনের র‌্যাশ দেখতে পাওয়া যায় এবং শরীর ফুলে ওঠে।

৫.যদি চোখ স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি লাল হয়ে যায়।

৬.  শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে আসা। সে ক্ষেত্রে যেমনঃ ডায়াবেটিস অথবা এইচআইভি আক্রান্ত কোনো রোগী, বা ক্যান্সারের চিকিৎসা নিচ্ছেন অথবা কেমোথেরাপি ,রেডিও থেরাপি রোগী।

 

উপরোক্ত আলোচনা থেকে আপনারা জানতে পারলেন কখন অথবা কারা অতি দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন যদি চোখ ওঠে।

 

আরো পড়ুনঃ কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা

আরো পড়ুনঃ উজ্জ্বল ত্বকের জন্য ঘরে তৈরি ফেসপ্যাক

 

চোখ উঠার লক্ষণঃ

প্রতিটা রোগেরই কোন না কোন লক্ষণ রয়েছে জাস্ট থেকে সেই রোগ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। ঠিক তেমনি যোগ্যতার বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ রয়েছে যা থেকে বোঝা যায় যে আপনার চোখ ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে এবং আপনার চোখ উঠবে।

 

চোখ উঠার মূল লক্ষণ গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে চোখে সাদা অংশ প্রচুর পরিমাণে লাল হয়ে যাওয়া অথবা গোলাপী হয়ে যাওয়া তাছাড়াও আরও বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ দেখতে পাওয়া যায় যা নিম্নে আলোচনা করবঃ

 

১. চোখের উপরের পাঁপড়ি  ফুলে যাওয়া  এবং ব্যথা করা।

 

২. চোখ দিয়ে চোখের পানি পড়া।

 

৩. চোখে মিউকাস জাতীয় তরল পদার্থ অথবা পুঁজ জমে যাওয়া এবং সেই পুঁজ শুখিয়ে  চোখের পাতা  অথবা পাতির সাথে লেগে থাকা। বিশেষ করে সকলে ঘুম থেকে উঠলে তা দেখতে পাওয়া যায়।

 

৪.কত বড় মনে চোখ চুলকানো এবং জ্বালাপোড়া করা চোখ ওঠার কারণে কিন্তু চোখ অনেক বেশি জ্বালাপোড়া করে।

 

৫. যারা কন্টাক্ট লেন্স করেন কন্টাক্ট লেন্স পড়লে চোখে অস্থিতি বোধ করো।

 

অতিরিক্ত আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম চোখ উঠলে করণীয় কি চোখ উঠার লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে। আশা করছি এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনার অনেক উপকার হবে। যদি আর্টিকেলটি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন এবং পরবর্তীতে কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করব তা কমেন্টে জানাতে পারেন।

 

আরো পড়ুনঃ আমি মোটা হবো কিভাবে  | সাত দিনে মোটা হওয়ার ১০টি সহজ উপায়