নাক ডাকা বন্ধ করার উপায় (২ মিনিটে) | নাক ডাকা বন্ধ করার ঘরোয়া উপায়

নাক ডাকা বন্ধ করার উপায়

আমাদের মধ্যে অনেকেই ঘুমের মধ্যে নাক ডাকে। এই সমস্যা নিজে বুঝতে না পারলেও আপনার আসে পাসে থাকা মানুষ গুলো বিরক্ত হতে পারে। এই নাক ডাকার পিছনে লুকিয়ে আছে অনেক ধরনের শারীরিক জটিলতা যা আমাদের জানা দরকার।

 

তাছাড়া আপনার নাক ডাকার শব্দের জন্য আসে পাসের মানুষের সমস্যা হতে পারে। তাই এই সমস্যা দ্রুত সমাধান এর জন্য নাক ডাকা বন্ধ করার উপায়  খুজে থাকেন এবং এই সমস্যা সমাধান করা অনেক দরকার।

 

ডা. অরিন্দম দাসের ভাষ্যমতে, নাক ডাকা শব্দটাই নাকি ভুল। এর কারন হিসেবে বলেছেন বেশিরভাগ সময়ই আওয়াজ নাক থেকে আসে না শব্দ হয় গলা বা নাকের পেছনের অংশের মাধ্যমে। বিষেশ করে নাক থেকে বায়ু প্রবেশ করে শ্বাসনালী হয়ে ফুসফুস প্রর্যন্ত পৌঁছায়।

 

যদি কোনো কারণে বায়ু চলাচলের পথে বাধা তৈরি হয় ও টার্বুলেন্ট এয়ার তৈরি হয় তাহমে মূলত আমাদের নাক ডাকার সমস্যা দেখা দেয়। তাই যাদের এই সমস্যা আছে তাদের এই নাক ডাকার সমস্যা নিয়ে আরও বেশি সচেতনতা জরুরি।

 

যেনে নিন নাক ডাকার কারণ গুলো

১. ওবেসিটি বা ওজন বাড়লে;

২. নাকের হাড় বাঁকা হলে;

৩. গলায় কোথাও মাংসপেশী বাড়লে;

৪. জিহ্বার নিচের অংশ স্ফীত হলে ইত্যাদি।

 

উপরের এই কারণগুলোর থেকেই শব্দ তৈরি হয়। আরো উল্লেখ্য যে, যেকোনো বয়সেই এই রোগ হতে পারে।

 

নাক ডাকার সমাধানে বিশেষ টিপস

এক পাশ ফিরে ঘুমান:

যারা তীব্র নাক ডাকে তারা যদি চিৎ হয়ে শুয় তাহলে তাদের নাক ডাকার প্রবণতা আরও বেড়ে যায়। যেকোন এক পাশ ফিরে শুলে এই সমস্যা কিছুটা কমতে পারে। এক পাশ ফিরে শুলে বাতাস চলাচলের রাস্তাটি খুলে যায় তাই নাক ডাকার শব্দও কমে যায়।

উঁচু বালিশে ঘুমান:

আমাদরে মধ্যে অনেকের নিচু বালিশির ঘুমানোর অভ্যাস রয়েছে। কিন্তু আপনি কি জানেন উঁচু বালিশে মাথা রাখলেও অনেক সময় নাক ডাকার সমস্যা অনেকটা কমে যায়। ৩-৪ ইঞ্চিমতো উঁচু বালিশ ব্যবহার করলে সুফল পাওয়া যাবে।

বেশি করে জল খান:

জল কম খেলে শরীরের জন্য অনেক খারাপ। শরীরে জলের ঘাটতি হলেও অনেক সময় নাক ডাকার সমস্যা বাড়ে যেতে পারে। তাই নিজেকে সবসময় হাইড্রেটেড রাখুন ও জল খান করুন, উপকার পাবেন।

ধূমপান ছাড়ুন:

ধুমপান আমদের জন্য যে কত ক্ষতি তা নিয়ে একটি আর্টিকেল লিখা হয়েছে ইতি মধ্যেই। ধূমপানের ফলে শ্বাসনালীতে জটিলতার সৃষ্টির সাথে সাথে আরো বিভিন্ন ক্ষতি হয়ে থাকে।

 

স্ফীত হয়ে যেতে পারে অনেক নাসিকাপেশীও। আপনি যদি ধূমপান বন্ধ করতে পারেন তাহলে অনেক ক্ষেত্রেই শ্বাস-প্রশ্বাসের বাধা দূর হয় এবং আপনার নাক ডাকার সমস্যা দূর হতে সাহায্য করবে।

অতিরিক্ত ওজন কমান:

অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না। অতিরিক্ত ওজন নাক ডাকার অন্যতম কারণ হিসেবে ধরা হয়। ওজন যত বাড়তে থাকবে, নাক ডাকার আশঙ্কাও তত বাড়তে থাকবে। আপনার অতিরিক্ত ওজন ঝরিয়ে ফেললে এ সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পেতে সহয়তা করবে।

 

আরো পড়ুনঃ গলায় কাঁটা বিধলে কি হয় | গলায় কাঁটা কতদিন থাকে?

 

নাক ডাকা বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় 

 

১. পুদিনা পাতা, দারুচিনি ও রসুন হালকা গরম পানিতে ভালো করে মিশিয়ে প্রতিদিন ১বার করে কুলকুচি করতে হবে আসা করছি ভালো ফল পাবেন।

 

২. ঘুমানোর কিছু সময় আগে মাত্র কয়েক দিন ১ ফোঁটা করে অলিভ অয়েল নাকে দিয়ে নিন । দেখবেন নাক ডাকার সমস্যা অনেকটা কমে যাবে ।

 

৩. নাক ডাকা সমস্যার সমাধানে ঘি হতে পারে আপনার অন্যতম সমাধান। প্রথমে ঘি সামান্য গরম করুন। সহনযোগ্য অবস্থায় এলে খুবই সামান্য ঘি দুই নাকে দিন। এইভাবে কিছু দিন ব্যবহার করলে আসা করছি ভালো ফল পাবেন।

 

আমাদের আস পাসে অনেক ধরনের মানুষ এই নাক ডাকা সমস্যায় ভুকছেন কিন্তু কেউই পাত্তা দেয় না। যার পরবর্তীতে দেখা যায় এই সমস্যা থেকে বেড়ে অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার দিকে চলে যায়।

 

অনেক সময় দেখা যায় এই রোগীদের ঘুমের মধ্যে শ্বাস আটকে যায়। এমন কি হার্ট রেট বেড়ে যেতে পারে। প্রতিদিন এইভাবে চলতে থাকলে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কাও থাকে রোগীর।

 

উপরের আলোচনা থেকে জানতে পেরেছেন নাক ডাকা বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় সমস্যার সমাধান না মিললে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়া উচিৎ । কারন কোন কিছুই অবহেলা করা ঠিক না। আপনার এই লেখাটি ভালো লাগলে সবার সাথে শেয়ার করুন। যে কোন কিছু জানানোর হলে কমেন্ট করে জানান।

 

ছবি সংগৃহীত

 

আরো পড়ুনঃ মাএ ৭ দিনে লম্বা হওয়ার উপায় | লম্বা হওয়ার উপায় ও ব্যায়াম দ্রুত জেনে নিন