পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর উপায়

পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর উপায়

আজকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করব তা হল পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর উপায়। যে বিষয়টি নিয়ে সচরাচর কেউ কথা বলতে চায় না। পিরিয়ডের সময়ের ব্যথা (ডিসমেনোরিয়া) এটি মেয়েদের সাধারণ একটি সমস্যা যা মাসিকের সময় পেটের নিচে এবং পিঠে প্রচুর পরিমাণে ব্যথার সৃষ্টি করতে  পারে।

 

পিরিয়ডের সময় অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে প্রচুর পরিমাণে ব্যথা অনুভব করে যা সহ্য করার মতো না আর অনেকে খুব একটা ব্যথা অনুভব করে না। যারা প্রচুর পরিমাণে ব্যথা অনুভব করে তাদের জন্যই  ঘরোয়া ভাবে কিছু উপায়  শেয়ার করব যা অনুসরণ করে আশা করছি আপনার পিরিয়ডের ব্যথা কমে যাবে।

পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর উপায় ১০ টি

১. গরম পানি সেঁক

পিরিয়ডের সময় পেটে এবং কোমরে ব্যথা হয়ে থাকে তার জন্য গরম পানির সেঁক  খুবই সুন্দর ভূমিকা পালন করে থাকে। এর কারণ হচ্ছে গরম পানি পেশিগুলিকে শিথিল করে থাকে এবং শরীরের রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। আপনি চাইলে গরম পানির ব্যাগ অথবা হিটিং প্যাড ব্যবহার করতে পারেন।

২. নিয়মিত ব্যায়াম

নিয়মিত ব্যান আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকার এবং সেই সাথে পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে থাকে।  অনেক ধরনের মধ্যে বিশেষ করে  যোগব্যায়াম এবং স্ট্রেচিং এর মত হালকা ব্যায়াম আমাদের বেশি গুলি কে নমনীয় করে তোলে এবং পিরিয়ডের সময়  আরাম দিয়ে থাকে।  পিরিয়ডের সময় বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে।

৩. হালকা ম্যাসাজ

পিরিয়ডের সময় হালকা তেল দিয়ে পেটের ব্যথা কমানোর জন্য খুবই উপকারী ভূমিকা পালন করে থাকে। বিশেষ করে ল্যাভেন্ডার পেট্রোল দিয়ে ম্যাসাজ  করলে অনেকাংশেই ব্যথা কমে যায়। প্রতিদিন কয়েক মিনিট করে সময় নিয়ে পেটের নিচের অংশে হালকা করে মেসেজ করুন ভালো ফলাফল পাবেন।

৪. আদা এবং লেবুর চা

আদা খাওয়ার উপকার সম্পর্কে আমরা সকলেই জানি এই আদা পিরিয়ডের সময় ব্যথা প্রশমিত করতে সাহায্য করে থাকে। আদা এবং লেবু দিয়ে হালকা গরম চা বানিয়ে পান করলে শরীর উষ্ণ থাকে এবং পেটের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।  দিনে এক থেকে দুই কাপ এই চা খেতে পারেন ।

 

আরো পরুনঃ নাক ডাকা বন্ধ করার উপায় (২ মিনিটে) | নাক ডাকা বন্ধ করার ঘরোয়া উপায়

 

৫. পর্যাপ্ত পানি পান করুন

পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি বজায় রাখা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পানি পান করলে শরীরের ভারসাম্য বজায় থাকে  যারা ব্যথা কমাতে সহায়তা করে। প্রতিদিন আমাদের সবারই অন্তত ৮ গ্লাস মত পানি পান করা উচিত।

৬. খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন

খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এমনকি পিরিয়ডের সময় ব্যথার কমানের জন্য খাদ্যাভ্যাসের ভূমিকা  অপরিসীম। বিভিন্ন পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা উচিত।

 

যেমনঃ ডাল, বাদাম,সবুজ শাক-সবজি ইত্যাদি খেলে বেশি সংকোচন কমে যায় এবং ব্যথা কমাতে সহায়তা করে।এছাড়াও আমাদের শরীরের জন্য ফাইবার এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করাও অনেক জরুরি।

৭. পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন

লোড চলাকালীন সময়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম শরীরের জন্য ভাবে। যদি ব্যথা তীব্র হয় তাহলে  শরীরকে শুয়ে থেকে বিশ্রাম দিতে সহায়তা করুন এবং চেষ্টা করুন কিছু সময় ঘুমানোর জন্য। বিশ্রামের ফলে আপনার  ব্যাথার হ্রাস করতে সাহায্য করবে।

৮. ওষুধ গ্রহণ

উপরের যে ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো আলোচনা করা হয়েছে সেই পদ্ধতিতে যদি কোনভাবেই ব্যথা না কমে। তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং সেই অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করতে হবে।

 

চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত কোন ধরনের ওষুধ খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য ঠিক  নয়।  ওষুধ গ্রহণ করতে হলে অবশ্যই  চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

৯. মেডিটেশন এবং শ্বাসের ব্যায়াম

মেডিটেশন এবং হাঁসের ব্যায়াম আমাদের শরীরের মানসিক চাপ কমিয়ে আনতে অনেকটাই সাহায্য করে থাকে। যারা নিয়মিত মেডিটেশন করে তাদের মানসিক চাপের পরিমাণ অন্যান্য ব্যক্তিদের তুলনায় অনেক অংশে কম থাকে।  পিরিয়ডের ব্যথার সময় আপনি মেডিটেশন করতে পারেন এতে আপনার ব্যথার পরিমাণ অনেকটাই কমে যাবে।

১০. চা ও ক্যাফেইন এড়িয়ে চলুন

পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে চা কফি এবং ক্যাফেইন যুক্ত পানীয় পান করা থেকে বিরত থাকা উচিত। কারণ ক্যাফেইন বেশি সংকোচন বাড়ায় ফলে ব্যথা আরো বাড়তে পারে।

উপসংহার

পিরিয়ডের সময় ব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা কিন্তু, তা মোকাবিলার জন্য উপরের পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর উপায় অনুসরণ করলে আশা করা যায় ব্যথা অনেকটাই কমানো সম্ভব।

 

স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং ঘরোয়া কিছু উপায়ে আপনি পিরিয়ডের সময়ও আরামদায়ক অনুভব করতে পারবেন। তবে যদি ব্যথা অতিরিক্ত তীব্র হয়, তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

 

ছবি সংগৃহীত

 

আরো পরুনঃ মাএ ৭ দিনে লম্বা হওয়ার উপায় | লম্বা হওয়ার উপায় ও ব্যায়াম দ্রুত জেনে নিন