আমাদের দেশে বর্তমানে লাখ লাখ মানুষ ফ্রিতে টাকা ইনকাম করছে অনলাইন থেকে (Online Income Bd) । এই লেখাতে ফ্রিতে টাকা ইনকাম এর ৫টি উপায় সর্ম্পকে আলোচনা করবো যা আপনার অনলাইন ইনকাম করার প্রতি আগ্রহ এবং ইনকামের পদ্ধতি সর্ম্পকে জানতে পারবেন।
সূচনা
এখন পোর পৃথিবীতে প্রযুক্তি এগিয়ে যাচ্ছে এবং মানুষ এখন প্রতি মুহর্তে প্রযুক্তির উপরে নির্ভরশীল। আমাদের সকাল থেকে শুরু করে রাতে ঘুমাতে যাওয়া প্রর্যন্ত প্রযুক্তি নিয়েই থাকা হয়। প্রযুক্তির কিছু খারাপ দিক থাকলেও একটি সাথে মানুষের ফ্রিতে টাকা ইনকাম এর সুযোগও করে দিচ্ছে।
বর্তমানে খুবই সহজেই বিপুল পরিমানে অর্থ উপার্জন অনলাইন থেকে করা সম্ভব এবং মানুষ করছেও। আমাদের দেশের লাখ লাখ তরুন এখন ফ্রিতে টাকা ইনকাম (Online Income Bd) করে যাচ্ছে তাহলে আমরা কেন পিছিয়ে থাকবো?
আজকে যে মাধ্যম গুলো শেয়ার করবো তার মাধ্যমে চাইলে আপনিও খুবই সহজে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। অনলাইন থেকে ইনকামের বিভিন্ন মাধ্যম রয়েছে আজকে সহজ এবং জনপ্রিয় ৫টি উপায় আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। আসা করছে আপনি যদি প্রতিটি লাইন মনযোগ দিয়ে পরেন তাহলে খুবই ভালো একটি ধারনা আপনি পাবেন যা আনলাইনে ইনকামের জন্য অনেকটাই এগিয়ে থাকবেন।
Table of Contents
Toggleফ্রিতে টাকা ইনকাম এর ৫টি উপায় – Online Income Bd এর আদ্যোপান্ত
অনলাইনে টাকা ইনকাম করার বিষয়টি এখন থেকে ১০ বছর আগে অনেক বেশি কঠিন ছিল, কিন্তু এখন অনেক সহজ হয়েছে। আগে ইনকামের এত এত মাধ্যম বা সুযোগ ছিল না। একটা সময়ত অনলাইনে যে ইনকাম করা সম্ভব তা মানুষকে বললে হাসা হাসি করতো।
কিন্তু এখন আর সেই সময় নেই। এখন আসে পাশে অনেক মানুষ ইনকাম করছে দেখে সবাই চায় ঘরে বসে কিভাবে অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য। বর্তমানে এই ইনকাম দিয়েই স্বচ্ছলতা আসছে অনেক পরিবারে।
বর্তমানে সব কিছুই অনলাইনের মাধ্যমে হচ্ছে যেমন অফিস আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,ব্যাংক থেকে শুরু করে প্রায় সকল কিছুতেই অনলাইনের ভূমিকা রয়েছে। আপনি পার্সপোট থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আবেদন সকল কার্যক্রম অনলাইনের মাধ্যমে করতে পারবেন যা আগে কল্পনাও করা যেত না।
এখানে কেওই গ্যারান্টি দিতে বলতে পারবে না যে, আপনি শুরুতেই লাখ লাখ টাকা অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন। তবে আপনার যদি ধৈর্য থাকে এবং সময় নিয়ে একটি বিষয় নিয়ে লেগে থাকতে হবে।
কিভাবে আপনি অনলাইনে ইনকাম করবেন? (How to Online Income)
আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী অনলাইনে ইনকামের কনসেপ্ট টি নতুন হলেও বহির্বিশ্বে অনেক আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে। সব থেকে বড় কথা হচ্ছে ঘরে বসে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ অন্য কোন পেশায় পাওয়া যায় না। এবং নিজের মতো কাজ করা যায় যার জন্য ফ্রিল্যান্সিং বা অনলাইন ইনকাম এর বিষয়টি বর্তমানে আমাদের দেশে এত জনপ্রিয় হচ্ছে।
অনলাইনে ইনকাম (Online Income) এর জন্য আপনার বিশেষ কোন কিছু প্রয়োজন হবে না শুধুমাত্র একটি বিষয়ের উপর সে দক্ষতাকে কাজে লাগে ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন।
বর্তমানে সব ধরনের পেশাজীবীর মানুষই অনলাইনে ইনকাম করছে। এমনকি বর্তমানে অনেক স্টুডেন্টরাও পড়াশোনার পাশাপাশি অনলাইনে কাজ করে নিজের খরচ নিতে চালাচ্ছে। বর্তমানে আমরা প্রচুর পরিমাণে ফেসবুক ইউটিউব এবং instagram ইউজ করে সময় নষ্ট করে থাকে।
সেই সময়কে কাজে লাগিয়ে আমরা চাইলে নিজেরা স্বাবলম্বী হতে পারি। বাট দেখা অনেক স্টুডেন্টরাই পড়াশোনার পাশাপাশি অবসর সময়কে কাজে লাগে তাদের ঘরে বসে বেশ ভালো পরিমানে টাকা ইনকাম করছে।
অনলাইন আয় এর সেরা ৫টি উপায়
বর্তমানে অনলাইন থেকে ইনকাম করার যেমন যেমন ঝোক বেড়েছে তেমনই অনলাইনে ইনকাম করার অনেক ধরনের উপায় তৈরি হয়েছে। অনেকগুলো উপায় এর মধ্যে থেকে আজকে পাঁচটি উপায় সম্পর্কে বলবো যার মাধ্যমে নেই ঘরে বসে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এসব উপায় গুলো নিজের আলোচনা করা হলঃ
১। ব্লগিং (Blogging) করে আয়
অনলাইনে ব্লগিং একটি বেশ পুরাতন এবং একটি কার্যকরী পদ্ধতি। এই ব্লগিং করে প্রতি মাসে বেশ ভালো পরিমান টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
এটাকে বলা যায় একটি ডিজিটাল নিউজ পেপার এর মত। আপনি যে কোন একটি বিষয় অথবা অনেকগুলো বিষয়ের উপর যার সম্পর্কে খুব ভালো অভিজ্ঞতা আছে তা নিয়ে লেখালেখি করতে পারেন। আপনি যে বিষয়টি নিয়ে লিখবেন সে বিষয়টি যদি অন্য কোন কারো জানার দরকার হয় তাহলে আপনার ব্লগের মাধ্যমে এসে পড়বে।
আমি যদি একটি উদাহরণ দেই তাহলে আপনি এখন যে লেখাটি পড়ছেন এটি হচ্ছে একটি ব্লগ। আরেকটু বিস্তারিত যদি বলি তাহলে আপনি গুগলে সার্চ করেছেন কিভাবে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করা যায়। এবং আপনি সার্চ করে আমার এই পোস্টটি আপনার সামনে এসেছে এবং আপনি আর এই লিখাটা করছেন এখন।
অতএব আপনার যদি লেখালেখির প্রতি আগ্রহ থাকে তাহলে খুব সহজেই একটি ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করে তার মাধ্যমে লেখালেখি করে প্রচুর পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন।
আপনি যেকোনো ভাষার যে কোন বিষয়ের ওপর লিখালিখি করতে পারবেন। কিন্তু সব থেকে বেশি ভালো হয় আপনি যে বিষয়টির উপর অভিজ্ঞ আপনি সে বিষয়ে লেখালেখি করলে সব থেকে বেশি কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
সুতরাং আমি যদি ধরে নেই আপনি লেখালেখির প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এবং চিন্তা করেছেন একটি ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করার। তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে একটি নিস সিলেক্ট করতে হবে। নিজ বলতে মূলত একটি নির্দিষ্ট টপিক কে বোঝায়।
আমি যদি উদাহরণ দেই তাহলে যেমন, খেলাধুলা, টেকনোলজি, রান্নার রেসিপি, ভ্রমণ কাহিনী ,অনলাইন থেকে ইনকাম, স্বাস্থ্য ,ব্যাংকিং ইত্যাদি সবগুলোই একেকটি নিস। ধরুন আপনি রান্না করতে অনেক ভালোবাসেন এবং রান্না সম্পর্কে আপনার অনেক অভিজ্ঞতা আছে তাহলে আপনি রান্নার উপর ভিত্তি করে একটি ব্লগ ওয়েবসাইট শুরু করতে পারেন যেখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের রান্নার রেসিপি সম্পর্কে মানুষকে জানাবেন।
এখন কথা হচ্ছে আপনি কোথায় লেখালেখি করবেন। লেখালেখি করার জন্য অনেকগুলো মাধ্যম রয়েছে ফ্রিতেও আপনি লেখালেখি করতে পারবেন এবং টাকা ইনভেস্ট করে নিজস্ব ডোমেন হোস্টিং কিনেও লেখালেখি করতে পারবেন। কিন্তু ফ্রিতে যদি করার চিন্তা-ভাবনা করেন তাহলে এটি মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা অনেকটা কম।
তাই আমাদের পরামর্শ থাকবে আপনি একটি ডোমেন এবং একটি পোস্টিং কিনে তারপর ওই হোস্টিং এ একটি ফ্রি থিম ব্যবহার করে আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করবেন। সাধারণত এক বছর মেয়াদ থাকে আপনি চাইলে তার থেকে বেশি বছরের জন্য নিতে পারেন সে ক্ষেত্রে টাকাটা একটু বেশি লাগবে ।
একই বিষয়ে আসে হোস্টিংয়ের ক্ষেত্রেও। আপনি চাইলে পোস্টিং এক মাস থেকে শুরু করে আপনার যত মাস ইচ্ছা তত মাসে জন্য হোস্টিং কিনতে পাবেন। কিন্তু আমাদের পরামর্শ থাকবে আপনি পোস্টিং এবং ডোমেইন এক বছর মেয়েদের জন্য কিনবেন।
কারণ একটি ওয়েবসাইট সবার মাঝে পরিচিত হতেও বেশ কয়েক মাস সময় লেগে যেতে পারে। এজন্য এক মাসের জন্য কিনলে আপনার জন্য ভালো হবে। আপনি চাইলে মোবাইলের মাধ্যমে ব্লগিং ওয়েবসাইট শুরু করতে পারেন তবে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ হলে আপনার জন্য ভালো হবে। আপনার পোস্টিং এ আপনার ডোমেটি কিনে সেখানে ফ্রি থিম ব্যবহার করে একটা ডিজাইন দাঁড় করাতে হবে।
আপনার কাছে অনেক বেশি জটিল মনে হতে পারে কিন্তু বিষয়টি একদমই সহজ। কিভাবে একটি ডোমেইন হোস্টিং এবং থিমের মাধ্যমে ওয়েবসাইট তৈরি করতে হয় তা খুব সহজেই ইউটিউবে সার্চ করলে বিস্তারিত অনেক ভিডিও পেয়ে যাবে। সেখান থেকে যেকোনো একটি ভিডিও দেখে আপনি আপনার পছন্দমতো ডিজাইন করে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।
ওয়েবসাইট তৈরির পর আপনার যে নিসের ওপর ওয়েব সাইটটি করা। সেই নিজ অনুযায়ী প্রতিনিয়ত আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে। এবং একটা সময় পর যখন আপনার ওয়েবসাইটের আর্টিকেলগুলো অনেক মানুষ পড়া শুরু করবে ।
তখন আপনি আপনার ওয়েবসাইটে মনিটাইজ করার জন্য গুগল এডসেন্স সহ বিভিন্ন ধরনের প্লাটফর্মের এড আপনার ওয়েবসাইটে দিতে পারবেন। যখন আপনার ওয়েবসাইটে কোন ভিজিটর প্রবেশ করবে তখন বিভিন্ন কোম্পানির এড আপনার ওয়েবসাইটে শো করবে।
এবং তার মাধ্যমে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।এছাড়া আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কোন প্রোডাক্ট বিক্রি করেন তার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
অনেকে ওয়েবসাইট খুব ভালো করে তৈরি করার পর এবং ওয়েবসাইটে যখন প্রচুর পরিমাণে ভিজিট আসা শুরু করে তখন সে তার ওয়েবসাইটটি অন্য কারো কাছে অনেক বেশি টাকায় বিক্রি করে দেয়। এর মাধ্যমে অনেক টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
২। ফ্রিলান্সিং (Freelancing) করে আয়
বর্তমান সময়ে অনলাইন থেকে সব থেকে বেশি যে মাধ্যমে মানুষ টাকা উপার্জন করে সেটি হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। বাংলাদেশের বেকারত্বের হার কমাতে এই ফ্রিল্যান্সিং অনেক বড় ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সাথে সাথে অনেক দক্ষ মানুষ আমাদের দেশকেও রিপ্রেজেন্ট করছে।
ফ্রিল্যান্সিং টি মূলত ঘরে বসে আপনি অন্য কারো কাজ করে দিবেন। যদি একটি উদাহরণ দেই তাহলে ধরুন আমার ওয়েবসাইটের জন্য কোন একটি বিষয়ের উপর একটি আর্টিকেল দরকার।
এবং আপনি আর্টিকেল লিখতে এক্সপার্ট। তখন আমি আপনাকে বললাম আপনি আমার ওয়েবসাইটের জন্য একটি আর্টিকেল লিখে দিবেন যার বিনিময়ে আমি আপনাকে এত টাকা দিতে পারব ।তখন আপনি আমি যেভাবে চাই সেই অনুযায়ী আপনি আমার ওয়েবসাইটের জন্য একটি আর্টিকেল লিখে দিবেন এবং তার বিনিময়ে আমি আপনাকে টাকা দিব।
বর্তমানে অনলাইনে হাজার হাজার বিষয় রয়েছে যে বিষয়গুলোর একটির ওপর যদি আপনি দক্ষতা অর্জন করেন এবং সেটি নিয়ে কাজ করেন তাহলে আপনি বহির্বিশ্বের বিভিন্ন ক্লাইন্ট অথবা কোম্পানির হয়ে আপনার এই দক্ষতা কাজে লাগিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।
যেমন ভিডিও এডিটিং, কন্টেন্ট রাইটিং, গ্রাফিক ডিজাইনিং, লোগো ডিজাইনিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ফটো এডিটিং সহ আরো নানান ধরনের কাজ হতে পারে।
আপনি যেকোনো একটি কাজ খুব ভালো করে শিখে সেই কাজকে কাজে লাগিয়ে আপনি বিভিন্ন ক্লায়েন্টের কাজ ডেলিভারি করতে পারবেন এবং তার মাধ্যমে ডলার ইনকাম করতে পারবেন।
এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে আমি কাজ শিখলাম কিন্তু ক্লাইন্ট কোথায় খুঁজে পাবো এবং আমার কাজটি কোথায় উপস্থাপন করব।
তার জন্য পৃথিবীতে বর্তমানে অনেক ধরনের অনলাইন প্লাটফর্ম রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি ক্লাইন খুজে এবং আপনার কাজ ডেলিভারি দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন তার থেকে সবথেকে জনপ্রিয়ঃ Freelancer, Upwork, Fiver, ইত্যাদি।
এখানে যে কয়টি ওয়েবসাইটের নাম উল্লেখ করা হয়েছে সব কয়েকটি অনেক জনপ্রিয়। আপনি নির্দিষ্ট একটি কাজ শেখার পর যেকোনো একটি ওয়েবসাইটে প্রথমে নিজে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন। তারপর আপনার কাজের স্যাম্পল হিসাবে সেখানে আপনার পোর্টফলিও দাঁড় করায়।
মানে কেউ আপনার প্রোফাইলে ঢুকলেই যেন বুঝতে পারে আপনি কিসের ওপর এক্সপার্ট। এমন কি আপনি ওই নির্দিষ্ট কাজের জন্য কত সময় নিবেন এবং কত টাকা চার্জ করবেন সেটিও উল্লেখ করে রাখতে পারবেন।
যদি কারো আপনার সেই ডেমো কাজ পছন্দ হয় তাহলে আপনাকে সে নিজে থেকেই মেসেজ করবে অথবা আপনি ক্লাইন্টরা যে কাজ দিয়েছে সেখানে মেসেজ দিয়ে আপনার প্রজেক্ট কি সম্পর্কে অবগত করতে পারেন যে আপনি এই কাজটি সবথেকে ভালো পাবেন।
এবং ক্লাইন্ট যদি সন্তুষ্ট হয় তাহলে আপনাকে কাজ দিলে আপনি সময়মতো সেই কাজ জমা দিতে পারলে তার বিনিময় সে আপনাকে টাকা প্রদান করবে।
প্রথম প্রথম কাজ পাওয়া অনেক কঠিন মনে হলেও যখন আপনি দুই তিনটি কাজ কমপ্লিট করে ফেলবেন তখন আপনার কাজের অভাব হবে না ।
আরো পড়ুনঃ জন্ম নিবন্ধন যাচাই | Jonmo Nibondhon Jachai [১ মিনিটে]
৩। ইউটিউবিং করে আয়
আপনি হয়তো জানেন youtube থেকে টাকা ইনকাম করা যায়। বাংলাদেশে অনেক ইউটিউবার আছে যারা প্রতি মাসে 40 থেকে 50 লক্ষ টাকা ইনকাম করে ঘরে বসে। আপনিও চাইলে ঘরে বসে youtube থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
আপনার যদি একটি ক্যামেরা থাকে অথবা মোবাইলের ক্যামেরা মাধ্যমে ভিডিও বানিয়ে সেখান থেকে youtube এ আপলোড করে আপনি প্রচুর পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন।
সেজন্য প্রয়োজন হবে সর্বপ্রথম আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল। ইউটিউব চ্যানেল খোলার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত একটি আর্টিকেল আমার ওয়েবসাইটে লেখা আছে। আপনি চাইলে সেই আর্টিকেলটি পড়ে খুবই সুন্দর ভাবে কিছু চ্যানেল খুলতে পারেন।
ইউটিউব এর বিষয়টিও হচ্ছে অনেকটাই ওয়েবসাইট তৈরি করার মত। আপনি একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর ভিডিও বানিয়ে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে প্রতিনিয়ত আপলোড করতে হবে।
এবং যখন আপনার ইউটিউব চ্যানেল অনেক জনপ্রিয় হবে এবং আপনার ইউটিউব চ্যানেলে যখন সর্বনিম্ন 1000 সাবস্ক্রাইবার ও ৪ হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম লাস্ট এক বছরে হবে।
তখন আপনার youtube এ বিভিন্ন কোম্পানি এড দিবে। মানুষ যখন আপনার ইউটিউব ভিডিও দেখবে এবং বিভিন্ন কোম্পানির এড আপনার ভিডিওতে শো করবে তার মাধ্যমে আপনি কিছু টাকা পাবেন। এভাবে প্রতিটি ভিডিওতেই আপনার শো করবে আপনার ভিডিওর ভিউ যদি অনেক বেশি হয় তাহলে আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন আর আপনার ভিডিও যদি কম হয় তাহলে আপনার ইনকামের পরিমাণ কম হবে।
৪। ওয়েবসাইট (Website) বানিয়ে আয়
আপনি কি জানেন শুধুমাত্র ওয়েবসাইট তৈরি করে এবং সে ওয়েবসাইটটি কি করার মাধ্যমে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। ওয়েবসাইট তৈরি করার বর্তমানে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলার মতই অনেক সহজ যে কেউ চাইলেই এটি করতে পারেন।
তার জন্য আপনাকে এই ওয়েবসাইট তৈরী করার জন্য দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং কিছুদিন প্র্যাকটিস করলেই আপনি সেই দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। যখন আপনি ওয়েবসাইট তৈরির এ টু জেড সম্পূর্ণ সবকিছু শিখে যাবেন। তখন আপনি ক্লায়েন্টের হয়ে বিভিন্ন রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী ওয়েবসাইট তৈরি করে দেবেন এবং তার বিনিময়ে টাকা নিবেন ।
অনেকেই আছে যারা ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারে না বা তাদের ওয়েবসাইট তৈরি করার মত সময় নেই। আপনি খুব অল্প সময়ে তাদের জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করে দিয়ে তাদের কাছ থেকে টাকা নিতে পারেন।
৫. ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম
আমাদের দেশে ফেসবুক একাউন্ট নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়ার কঠিন। আপনি হয়তো সারাদিন ফেসবুক চালাচ্ছেন আপনার মত অনেকেই সেই ফেসবুককে কেন্দ্র করে অনেক টাকা ইনকাম করে নিয়েছে। ইউটিউবের মতো ফেসবুকেও এখন সুযোগ করে দিচ্ছে ইনকাম করার জন্য।
আপনার যদি একটি ফেসবুক পেজ থাকে এবং সেই পেইজে আপনি ভিডিও দিয়ে সেখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন খুব সহজে।
ইউটিউবে যেমন ভিডিও আপলোড করে সেই ভিডিওতে বিভিন্ন কোম্পানির অ্যাড এর মাধ্যমে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন ঠিক একই ভাবে ফেসবুকে পেজের মাধ্যমে সেই পেইজে বিভিন্ন ভিডিও আপলোড করে অবশ্যই এটি নিজের হতে হবে। সেই ভিডিওর মাধ্যমে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ফেসবুক থেকে বাংলাদেশের অনেকেই লাখ লাখ টাকা প্রতি মাসে ইনকাম করছে এবং এটিকে অনেকে ক্যারিয়ার হিসেবেও নিয়েছে।
এজন্য আমাদের পরামর্শ আপনি ফেসবুকে সময় নষ্ট না করে সেখান থেকে যদি কিছু টাকাও ইনকাম করতে পারেন তাহলে আপনার জন্য ভালো। এমনকি আপনার যদি ফেসবুকে একটি অনেক ফলোয়ার যুক্ত পেজ থাকে সেই পেজ বিক্রি করেও আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি ফ্রিতে টাকা ইনকাম এর ৫টি উপায় – Online Income Bd । আশা করছি আপনি যদি অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার চিন্তা-ভাবনা করে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকবে। অনলাইনে ইনকামের হাজারো পদ্ধতি বা উপায় হয়েছে তার মধ্যে থেকে জনপ্রিয় মাত্র পাঁচটি বিষয় নিয়ে আজকে আলোচনা করলাম। আপনাদের যদি এর মাধ্যমে উপকার হয়ে থাকে তাহলে পরবর্তীতে আরও বিভিন্ন উপায় নিয়ে আলোচনা করব।
আরো পড়ুনঃ গলায় কাঁটা বিধলে কি হয় | গলায় কাঁটা কতদিন থাকে?