ইংরেজি শুধু মাএ একটি ভাষা যেমন বাংলা একটি ভাষা। একটি নতুন ভাষা শেখা বেশ কঠিন হলেও অসম্ভব কিছু না। প্রতিদিন একটু একটু প্রাকটিস করলে সহজে ইংরেজি শেখার উপায় পেয়ে যাবেন। আপনার মধ্যে যদি ইচ্ছা এবং শেখার শক্তি থাকে তাহলে ৫-৬ মাসের মধ্যেই সহজে ইংরেজি শিখতে পারবেন ও লিখতে পারবেন। ঘরে বসেই খুব দ্রুত শেখা যাবে তা নিয়েই নিয়ে আলোচনা করবো। ইংলিশ ভাষা একটি ইন্টান্যাশনাল ভাষা এই ভাষা শিখলে আপনি বর্তমান যুগে আপনি অন্যদের থেকে অনেক বেশি এগিয়ে যাবেন।
Table of Contents
Toggleইংরেজি শেখার প্রয়োজনীয়তা গুলোঃ
১. আমাদের দেশে চাকুরীতে সহয়তা
আমরা অনেকেই যারা পড়াশুনা শেষ করে বসে আছি । আমরা বসে না থেকে যদি ইংরেজি শিখি তাহলে চাকুরীর বাজারে আমরা অনেক এগিয়ে যাব। বর্তমানে প্রাইভেট চাকুরীতে ইংরেজী বলতে পারলে অনেক অগ্রদীকার পাওয়া যায়।
২. বিদেশে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ
আপনি যদি চিন্তা করেন দেশের বাইরে যাবেন উচ্চ শিক্ষার জন্য তাহলে ইংরেজি শেখার প্রয়োজনীয়তা বলে শেষ করা যাবে না। আপনি ভালো কনো দেশে পড়ার জন্য গেলে অবস্যই ইংরেজি শেখতে হবে।
৩. ফ্রিল্যান্সিং করতে
ফ্রিল্যান্সিং করতে ইংরেজির বিকল্প নেই কারন আপনি অনলাইন থেকে কাজ পেতে হলে দেশের বাইরের মানুষদের সাথে কথা বলে কাজ নিতে হবে এবং কাজ ডেলিভারী করতে হবে।
৪. বিশ্ব সম্পর্কে জানতে
বিশ্ব সম্পর্কে জানতে ইংলিশ জানা খুবই প্রয়োজন। কারন বিশ্ব সম্পর্কে জানতে হলে অনলাইনে বিভিন্ন মাধ্যম রয়েছে যার বেশির ভাগই ইংরেজি ভাষায় লিখা।
৫. ভ্রমণ সহজ হয়ে যাবে
যারা ভ্রমণ করতে ভালোবাসে এবং যারা দেশের বাইরে ভ্রমণ করতে যাওয়ার কথা চিন্তা করছেন তাদের . ভ্রমণ সহজ করতে এবং কমোনিকেশন ডেভলোপ করতে ইংরেজি শেখার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে অনেক।
দেখে নেওয়া যাক সহজে ইংরেজি শেখার উপায় গুলোঃ
কারো সাথে ইংরেজিতে কথা বলা
ভালো ভাবে কারো সাথে যদি কথাই না বলতে পারি তাহলে ঐ ভাষার কোন গুরুত্ব আছে কি? যদিও এখন অনলাইনে ফেসবুক,টেলিগ্রাম বিভিন্ন মাধম্যে ইংরেজিতে কথা বলার সুযোগ রয়েছে। কিন্ত মেসেজে কথা যতই বলুন না কোন আমাদের জড়তা কাটবেনা, জড়তা কাটবেনা, জড়তা কাটানোর জন্য দরকার সরাসরি কথা বলার অভ্যাস। তার জন্য একজন স্পিকিং পার্টনার খুজে নিতে হবে যার সাথে আপনি প্রতিদিন ইংরেজিতে কথা বলতে পারবেন।
আপনার পার্টনার এর সাথে প্রতিদিন বিভিন্ন টপিকস নিয়ে কথা বলুন ঔ সব টপিকস এর ভালো দিক খারাপ দিক নিয়ে আলাচনা করুন। আপনার স্পিকিং পার্টনার যদি দূরে থাকে তাহলে অনলাইনে মেসেন্জার, হোয়াটসএ্যাপ এর কলের মাধ্যমে ও কথা বলতে পারেন। একটি নিদ্দিষ্ট সময় বের করে প্রতিদিন ১ ঘন্টা করে ডিসকাশন করুন দেখবেন আপনার ইংরেজি শেখা অনেক সহজ হয়ে যাবে।
ইংরেজি পডকাস্ট বা ইউটিউব শুনুন
পডকাস্ট এখন অনেক জনপ্রিয় একটি প্রগ্রাম ভিবিন্ন মাধ্যমে পডকাস্ট শুনতে পারবেন। এখন অনেক বড় ব্ড় ইউটিউবার বিভিন্ন সেলিব্রেটিদের নিয়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে থাকে। আপনি যে টপিক পছন্দ করেন ওই সব টপিক এর উপর ইংরেজি পডকাস্ট গুলো শুনতে পারেন। তাছাড়া অনেকে দারুন দারুন বিষয়ের উপর ভিডিও বানায় ওদের চ্যানেল গুলো সাবসক্রাইব করে রেখে ওদের ভিডিও দেখতে পারেন।
ইংরেজি পডকাস্ট বা ইউটিউব শুনুলে লিসেনিং স্কিল বৃদ্ধি পাবে এবং নতুন নতুন শব্দও শিখতে পারবেন। তাছাড়া কিভাবে নতুন সেন্টেস তৈরী করতে হয় তারও ধারণা করতে পারবেন।
ইংরেজি যা পাবেন পড়ে ফেলুন
পড়ার অভ্যাস না থাকলে এখন থেকেই পড়ার অভ্যাস শুরু করে দেন। ইংলিশে যে কোন ধরনের নিউজপেপার,ব্লগ পোস্ট, স্যোশাল মিডিয়া আরটিক্যাল, অনলাইন পেপার যাই হোক না কোন পাড়ার অভ্যাস করুন। পড়লে যা হবে, নতুন নতুন অনেক ধরনের ভোকাবুলারি পাবেন যা আপনাকে পরবর্তীতে সাহায্য করবে। একই সাথে পূর্বে জানা আপনার সব ভোকাবুলারি প্রাকটিস হয়ে যাবে। তখন আপনি ওয়ার্ড তৈরী করা শিখে যাবেন যা সহজে ইংরেজি শেখতে পারবেন বলে বিবেচিত হয়।
আপনি যত বেশি বেশি পড়ার অভ্যাস করবেন তত আপনার রাইটিং স্কিল বৃদ্ধি পাবে এবং যখন ইংরেজিতে কথা বলবেন তখন জরতা কেটে যাবে। এখন থেকে আশেপাশে যত ধরনের লেখা দেখতে পারবেন তা পড়তে শুরু করে দেন তাহলে আপনার ইংলিশ ভীতি কেটে যেতে শুরু করবে।
নতুন নতুন ভোকাবুলারি নোট করুন
ইংরেজিতে কথা বলতে চাইলে অনেক ধরনের ভোকাবুলারির প্রয়োজন হয় কারন অল্প ভোকাবুলারি দিয়ে অনেক বেশি সেনটেন্স তৈরী করতে পারবেন না। প্রতিদিন যে ভোকাবুলারি নোট করবেন তা আবার প্রতিদিন একবার করে পরবেন তা না হলে ভুলে যাবেন। আমরা ছোট বেলাতে যে ভোকাবুলারি গুলো শিখে ছিলাম তা কিন্তু এখনো মনে আছে কারন তখন বার বার পড়েছিলাম। এখানে একটা সুন্দর বিষয় শেয়ার করবো আপনি প্রতিদিন যে ভোকাবুলারি নোট করছেন সেই ভোকাবুলারি দিয়ে নিজের মত করে একটি সেন্টেস তৈরী করে রাখুন এইটা খুবই ইফেক্টিভ একটি মেথড। প্রথমে আপনার সব কিছু বিরক্ত লাগবে কিন্তু পরবর্তীতে যখন অনেক বেশি ভোকাবুলারি ব্যবহার করতে শিখে যাবেন তখন অনেক মজা লাগবে। আর নোট করে রাখার সুবিধা হল যখন ফ্রি টাইম পাবেন তখন একবার চোখ দিয়ে দেখলেই আপনার সব মনে পরে যাবে।
পছন্দের বিষয়ে নিজে নিজে কথা বলুন
উপরক্তি একটা জাগায় শেয়ার করেছিলাম পডকাস্ট এর বিষয় মনে আছে? পডকাস্টে এ যে টপিকের ভিডিও গুলো আপনি দেখছেন ওই সব টপিক নিজে নিজে বলার চেষ্টা করুন। কোন বিষয়টি কিভাবে নিজের সাথে বলবেন তা নিজের মনের মধ্যে আগে ভালো ভাবে ঠিক করুন। নিজে নিজে গল্প তৈরী করলে এক্সপ্লেইন করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। আপনার কথা বলার জড়তা দূর হবে এবং কিভবে সেনটেন্স মেক করতে হয় তাও বুঝে যাবেন।
প্রতিদিন রুটিন করে যদি এইটা ফলো করেন তাহলে দেখবেন ইংলিশে চিন্তা করার দক্ষতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ভয় ও দূর্বলতা অনেক কমে গেছে।
একটি গোল সেট করুন
আপটি ঠিক কত দিন/সময়ের মধ্যে ইংরেজী শিখতে চান বা কতটুক ইংরেজী আয়ত্ত করতে চান তার জন্য স্পেসেফিক গোল সেট করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি গোল সেট না করেন তাহলে একটি নিদিষ্ট সময়ের পর আপনি আর শিখতে পারবেন না বা ডিমোটিভেট হয়ে যাবেন।
কে কি বলে ভুলে যেতে হবে
আপনি যখন নতুন ইংলিশ প্রাকটিস করা শুরু করবেন তখন শুরুটা ভালো নাও হতে পারে। সহজে ইংরেজি শেখার উপায় নিয়ে যা যা আলোচনা করেছি তা প্রয়োগ করতে গেলে অনেকে অনেক ধরনের কথা বলতে পারে। কিন্তু আপনি যদি কারো কথা পাত্তা না দিয়ে পজিটিভ ভাবে শিখে যেতে পারেন তাহলে ৬ মাসের মধ্যেই ভালো রেজাল্ট দেখতে পারবেন। আর অন্যরা কে কি বলছে এইটা নিয়ে যদি পরে থাকেন তাহলে আপনি পিছিয়ে পরবেন। আর যতই ভুল হক না কেন আপনার ইংলিশ যত দিন যাবে তত উন্নত হতে থাকবে।