Table of Contents
Toggleখালি পেটে শসা খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে ৮ টি তথ্য
বিষাক্ততা দূর করে
আমাদের দেহের বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থ খাকে তা অপসারণের জন্য শসায় যে পানি থাকে তা খুবই কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে। আপনি যদি নিয়মিত শসা খান তাহলে কিডনিতে সৃষ্ট পাথরও গলে যেতে সহয়তা করে।
প্রাত্যহিক ভিটামিনের শূন্যতা পূরণ করে
মানুষের দেহের জন্য প্রচুর পরিমানে ভিটামিনের দরকার হয়, যার বেশির ভাগই শসার মধ্যে বিদ্যমান এবং ভিটামিন-এ, বি ও সি আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও শক্তি বাড়ায়। এজন্য সবুজ শাক-সবজি ও গাজরের সঙ্গে শসা পিষে রস করে খেলে এই ৩টি ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ হবে।
ত্বকবান্ধব খনিজের সরবরাহকারী
শসাতে অনেক বেশি পরিমানে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ও সিলিকন রয়েছে যার কারনে ত্বকের পরিচর্যায় কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে। অনেকে ত্বকের পরিচর্যায় শসা ব্যবহার করে থাকে।
হজম ও ওজন কমাতে সহায়ক
আমরা অনেকেই ওজন কমানোর উপায় খুজে থাকি। শসাতে রয়েছে উচ্চমাত্রায় পানি ও নিম্নমাত্রার ক্যালরিযুক্ত উপাদান যার ফলে তাঁদের জন্য শসা আদর্শ একটি উপাদান। ওজন কমানোর জন্য খাবার তালিকাতে বেশি বেশি শসা রাখবেন। যা আপনার স্বাথ্য এবং শরীরের জন্যও উপকারী।
আর আপনি যদি শসা চিবিয়ে খান তাহলে তা আপনার হজমে অনেক কার্যকর ভূমিকা রাখতে সহয়তা করবে। আমাদের মধ্যে অনেকের কোষ্ঠ-কাঠিন্যর সমস্যাতে ভুগে থাকি তারা নিয়মিত শসা খেলে উপকার পাবেন।
চোখের জ্যোতি বাড়ায়
আমরা হয়তো দেখেছি অনেকেই শসা গোল করে কেটে চোখের পাতায় বসিয়ে রাখেন? যার ফলে চোখের পাতায় জমে থাকা ময়লা দূর করতে সহয়তা করে। তেমনি চোখের জ্যোতি বাড়াতেও কাজ করে থাকে। অন্যদিকে চোখের প্রদাহ প্রতিরোধক উপাদান প্রচুর পরিমাণে থাকে যার ফলে ছানি পড়া ঠেকাতেও এটি কাজ করে থাকে।
চুল ও নখ সতেজ করে
শসাতে রয়েছে খনিজ সিলিকা থাকে তা আমাদের চুল ও নখকে সতেজ ও শক্তিশালী করতে অনেক ভালা ভূমিকা পালন করে থাকে। যাদের চুল পরে শেষ হয়ে যাচ্ছে তারা শসা ব্যবহার করতে পারেন । শসার সালফার ও সিলিকা চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
গেঁটেবাত থেকে মুক্তি
আগেও বলেছি শসাতে রয়েছে প্রচুর সিলিকা। আপনি যদি গাজর এর রসের সঙ্গে শসার রস মিশিয়ে খান তাহলে দেহের ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা অনেকটা নেমে আসে। যার ফলে গেঁটেবাতের ব্যথা থেকেও অনেকটাই মুক্তি পাওয়া যায়।
মাথাধরা থেকে নিষ্কৃতি
রাতে শসা খাওয়ার উপকারিতা কিন্ত রয়েছে।আমাদের মধ্যে অনেকের একটি সম্যসা রয়েছে যে ভোরে ঘুম থেকে ওঠার মাথা ধরে। শসার মধ্যে অনেক পরিমানে ভিটামিন-বি ও সুগার থাকে।
আপনার যদি সকালে মাথা ধরার সম্যসাটি থেকে থাকে তাহলে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কয়েক স্লাইস শসা খাওয়ার চেষ্টা করবেন তাহলে আর ভোরে ঘুম থেকে ওঠার পর এ সমস্যা থাকবে না।
শসা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারলাম। আপনি যদি লিখাটি লাইক করেন তাহলে আমাদের ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে যুক্ত থাকতে পারেন। যদি অন্য কোন বিষয় জানতে চান তাহলে নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
ছবি সংগৃহীত
আরো পড়ুনঃ জন্ডিস হলে কি স্যালাইন খাওয়া যাবে কি এবং জন্ডিস হলে করনীয়
আরো পড়ুনঃ পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর উপায়